ইসলাম কাকে বলে ?

 

ইসলাম কাকে বলে ?

ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

 وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ

وَمَنْ يُسْلِمْ وَجْهَهُ إِلَى اللَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى
‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ

 فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرْ الْمُخْبِتِينَ
‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)


ইসলামকে পাঁচটি রুকনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার দলীল কী?
জিবরীল (আঃ) যখন দ্বীন সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করলেন, তখন উত্তরে তিনি বললেনঃ

الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً)

‘‘ইসলাম হচ্ছে (১) এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল। (২) ছালাত কায়েম করা। (৩) যাকাত আদায় করা। (৪) রামাযানে ছিয়াম পালন করা। (৫) সামর্থ থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ আদায় করা।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আরো বলেনঃ

بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ

‘‘ইসলামের রুকন হচ্ছে পাঁচটি। এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) তাঁর রাসূল। (২) ছালাত (নামায) কায়েম করা। (৩) যাকাত আদায় করা। (৪) সামর্থ থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ আদায় করা। (৫) রামাযানের রোযা পালন করা। এখানেও ইসলামের রুকন পাঁচটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হজ্জকে রামাযানের রোজার পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।[1]



লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ) এ কথার সাক্ষ্য দেয়ার অর্থ কি ?

এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ এবাদতের যোগ্য হওয়ার কথা অস্বীকার করে শুধু আল্লাহর জন্য এবাদত সাব্যস্ত করা। তাঁর এবাদতে কোন অংশীদার নেই। যেমন তাঁর রাজ্যে কারও কোন অংশ নেই। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ   

ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ هُوَ الْبَاطِلُ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ

‘‘এটা এ কারণেও যে, আল্লাহই সত্য। আর তাঁকে ব্যতীত লোকেরা যাকে আহবান করে তা বাতিল। আর আল্লাহ তা’আলা সবার উচ্চে, মহান’’। (সূরা হজ্জঃ ৬২)



কুরআন ও হাদীছ থেকে ইখলাস বা একনিষ্ঠতার দলীল কী ?

কুরআন ও হাদীছে ইখলাসের অসংখ্য দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

أَلاَ لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ

 ‘‘জেনে রাখুন! আল্লাহর জন্যই নিষ্ঠাপূর্ণ দ্বীন’’ (এবাদত)। (সূরা যুমারঃ ৩) 

 فَاعْبُدْ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ

‘‘অতএব আপনি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করুন’’। (সূরা যমারঃ ২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ    

( أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ أَوْ نَفْسِهِ)

 ‘‘যে ব্যক্তি অন্তর থেকে নিষ্ঠার সাথে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফাআত পেয়ে সবচেয়ে বেশী ধন্য হবে’’।[1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ      

 فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ)

‘‘যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠ করবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন’’।[2]
                                                                                আরো জানতে 

1 comment:

Powered by Blogger.